নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশাল জেলার আগৈলঝারা থানাধীন রতœপুর গ্রামের কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় চারজন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা হলেন রতœপুর গ্রামের মৃত মাজেদ হাওলাদারের ছেলে মোঃ মিঠু হাওলাদার (৩৮) হিরন হাওলাদার (২২) শওকত হাওলাদার (৩২) ও তাদের চাচাতো ভাই আব্দুল আলী হাওলাদারের ছেলে জুয়েল হাওলাদার (৩৪)।
পরে স্থানীরা আহতদের মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে আগৈলঝারা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে সেখানে আহতদের শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। আহত সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর দের টার দিকে রতœপুর বাজারে স্থানীয় কিশোরগ্যাং সন্ত্রাসী রাকিব, সাকিব, সজিব, আওয়ামী লীগ নেতা সেরাজ ওরফে নবাব সেরাজ সহ অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জন সন্ত্রাসী হামলা চালীয়ে রতœপুর বাজারের ব্যবসায়ি লাল মিয়া হাওলাদারের দোকান ভাঙচুর ও লুট করে নগদ ১লক্ষ ৬৫হাজার টাকা ও দামী সব মালামাল নিয়ে যায়।
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে রতœপুর বাজারের কাছে থাকা স্থানীয় বাসিন্দা মিঠু হাওলাদার, হিরন হাওলাদার, শওকত ও জুয়েল বিষয়টি সমাধানের জন্য ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় কিশোরগ্যাংয়ে সন্ত্রাসীরা মিঠু হাওলাদার, হিরন হাওলাদার, শওকত হাওলাদার, ও জুয়েল হাওলাদারে উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
এ সময় রাকিব সাকিবের বাবা জুয়েল সরদার রাকিব, সাকিব, সজীব ও আওয়ামী লীগ নেতা সেরাজ বেপারী ওরফে নবাব সেরাজ সহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী ধাড়ালো রামদা, চাপাতি দিয়ে মিঠু হিরন শওকত ও জুয়েলকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা হিরনের পেটে ছুরিয়ে ঢুকিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় এবং তার মুখের দাঁত চাপাটি দিয়ে পিটিয়ে উপরে ফেলে।
এ ঘটনার পর আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী সাকিব ও সজীবকে চাইনিজ অস্ত্র সহ আটক করে।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমানে আহতরা শেবাচিমের সার্জারি ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ বিষয়ে আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. অলিউল জানান, এঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে, দুজন আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকি আসামীদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে।